Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

স্বাগতম

উপজেলা কৃষি অফিস

গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে কৃষি বিভাগের কার্যক্রম থাকলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৮২ সালে কৃষির বিভিন্ন দপ্তর একীভূত হয়ে  ''কৃষি সম্প্রসা্রণ অধিদপ্তর''  নামে আত্মপ্রকাশ করে। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্ববৃহৎ অনুশাখা সরেজমিন উইং এর নিয়ন্ত্রনাধীণ উপজেলা পর্যায়ের একটি অফিস। এ দপ্তরে প্রধানতঃ কৃষকদের ফসল আবাদ সংক্রান্ত প্রযুক্তি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সার, বালাইনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি ঋন প্রাপ্তি সহ প্রায় সকল কাজে এ দপ্তর কৃষকদের সহায়তা করে থাকে। প্রকৃতির বিপর্যয়ের ফলে ফসলের ক্ষতি হলে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পুনর্বাসন কর্মসূচী বাস্তবায়নও এই দপ্তরের কাজ।


বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সম্প্রসারণ ব্যাপ্তি অর্ধ শতাব্দীর মত হলেও এর পেছনে শতাধিক বর্ষের ঘটনাবহুল ইতিবৃত্ত রয়েছে। ১৮৬২-৬৫ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার জন্য র্দুভিক্ষ কমিশন প্রথম কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে যার। ফলশ্রুতিতে ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের জন্ম হয়। পরবর্তীতে ১৯০৬ সালে স্বতন্ত্র কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই সময়ে ঢাকায় মনিপুর (বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়) কৃষি খামারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ১০০০ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত। খামারটি কৃষি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়। ১৯০৯ সালে উক্ত খামারের কৃষি গবেষণার জন্য একটা ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়। ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রতিটি জেলায় একজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে কোন কৃষি বিজ্ঞানে জ্ঞান সম্পন্ন কর্মকর্তা ছিলেন না। পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালে সর্ব প্রথম বাংলাদেশ কৃষি কলেজ থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটগণ কৃষি বিভাগে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই বাস্তবিকপক্ষে কৃষি সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়।


১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন (ভিএআইডি) প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সম্প্রসারণ শিক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হয়, পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১৯৬১ সালে বিএডিসি, ১৯৬২ সালে এআইএস, ১৯৭০ সালে ডিএইএম এবং ডিএআরই সৃষ্টি হলেও কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে তেমন কোন পরিকল্পিত সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকান্ডকে জোরদার করার লক্ষ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ড, তামাক উনণয়ন বোর্ড, হর্টিকালচার বোর্ড এবং ১৯৭৫ সালে কৃষি পরিদপ্তর (পাট উৎপাদন), কৃষি পরিদপ্তর (সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনা ) নামে ফসল ভিত্তিক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানসমূহ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু একই কৃষকের জন্য বিভিন্নমুখী/ রকম সম্প্রসারণ বার্তা ও কর্মকান্ড মাঠ পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলশ্রুতিতে ১৯৮২ সালে ফসল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়োজিত ছয়টি সংস্থা যথা ডিএ(ইএন্ডএম), ডিএ(জেপি), উদ্ভিদ সংরক্ষণ পরিদপ্তর, হর্টিকালচার বোর্ড, তামাক উন্নয়ন বোর্ড এবং সার্ডি একত্রিভূত করে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সৃষ্টি করা হয়। কৃষি বিভাগ ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রবর্তিত ‘‘প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শণ (টিএন্ডভি) পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ১৯৯০ সালের পর হতে অদ্যাবধি দলীয় সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের কৃষি ও কৃষককে অত্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে সেবা প্রদান করেছে। পরিকল্পিত এবং অংশিদারীত্বমূলক সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের জন্য ১৯৯৬ সালে নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি (এনএইপি) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ৮টি উইং এর সমন্বয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ‘‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্ব হলো সকল শ্রেনীর চাষীদেরকে তাদের চাহিদা ভিত্তিক ফলপ্রসু ও কার্যকর সম্প্রসারণ সেবা প্রদান করা যাতে তারা তাদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে স্থায়ী কৃষি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।’’