Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
করোনার মাঝেও স্বচল গোদাগাড়ী কৃষি বিভাগ
বিস্তারিত

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মহামারীতে অচল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশেখাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘ থেকেও ওই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। উপজেলার সব বিভাগ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে এ অবস্থায় শুধু স্বচল রয়েছে কৃষি বিভাগ, করোনার তেমন প্রভাব পড়েনি কৃষি ও কৃষকের মাঝে।

করোনা ভাইরাসের কারণে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার অঞ্চলের সর্বত্র সার্বিক অর্থনীতিতে বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ধাক্কা আরো ক’দিন অব্যাহত থাকবে তা বলা মুশকিল। করোনায় শিল্প, কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতির প্রায় সব সেক্টরেই অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

তবে শুধু কৃষি সেক্টর দুর্বল করতে পারেনি। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির চাকা পুরোমাত্রায় সচল রয়েছে। করোনার ভয়কে জয় করে ব্যক্তিক শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে কর্মবীর কৃষক কৃষি অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। গ্রামীণ অর্থনীতি মূলতঃ কৃষিনির্ভর। এটি অচল হলে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতো।

গোদাগাড়ীর কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারির সাথে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, দিন রাত মাঠে মাঠে কৃষক সমানতালে কাজ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। সম্প্রসারণ অফিসার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সার বীজসহ বিভিন্ন সরকারী সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে, বিভিন্ন পরামার্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ত্রাণের সাথে দেয়ার ব্যবস্থা করায় কৃষক ভাল দাম পাচ্ছেন। কৃষকদের সোনার ফসল বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি, রিপার মেশিন, কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে কৃষকের সাথে সহযোগিতা করছেন।কৃষি এ এলাকার অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হওয়ায় সেটিকে স্বচল রাখার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলার গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকার কৃষক মামুন, শামসুল হক ও মো. আব্দুল মাতিন মাঠে কর্মরত বেশ ক’জন কৃষক জানালেন, আমরা দুর্দান্ত গতিতে কৃষি উৎপাদন করছি। এখন ধান কাটা শেষ পর্যায়ে চলছে সবজি, গ্রীষ্মকালীন পাট বপন ও আউশের বীজতলা তৈরিসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ। শুধু উৎপািদত বোরো ধানের নায্য মূল্যটা পেলেই হয়। এ ব্যপারে প্রধান মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করচ্ছি। কেন না কৃষিই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। করোনার কোন প্রভাব কৃষিতে পড়েনি। বরং মাঠে মাঠে কৃষকের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে।

করোনায় হাট-বাজার, দোকান-পাটে বেচাকেনা কমে গেছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকগণ পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়েছে, তবে প্রশাসন করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকায় বিভিন্ন প্রশাসনের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আত্নগোপন করা মাদক ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে এসে বীরদাপটে তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছু কথিত বৈধ ব্যবসার আড়ালে এ মাদককার সুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহিশালবাড়ী বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলাম বললেন, করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে ওঠার উপক্রম। লোকসানে লোকসানে ব্যবসায়িরা জর্জরিত। ঈদে কিছু বেচাকেনা হবে ভাবছিলাম সে আশায় গুড়ে বালি, দোকানভাড়া, সংসার ম্যানেজ করা নিয়ে সমস্যায় আছি।

গোদাগাড়ীর সার্বিক চিত্র দেখে মনে হয় শুধু কৃষি বিভাগ স্বচল রয়েছে আর বাকি সব বিভাগ যেন করোনা ভাইরাসের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হলেও স্বচল রয়েছে।

 

News Link: 

https://www.bangladeshtoday.net/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A6%B2-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%97/

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
16/05/2020
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2029