নিজস্ব প্রতিবেদক: বরেন্দ্র অঞ্চলের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের কর্তন শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় নিম্নাঞ্চল এলাকায় ফসলের ক্ষতি হলেও গোদাগাড়ীতে এর প্রভাব পড়েনি। কারন এখানকার প্রায় জমিই উঁচু। বৃষ্টি হওয়ায় সেচ কম লাগায় খরচ তেমন হয়নি। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যাপকভাবে ধান কাটা শুরু হবে বলে কৃষকরা জানান।
গোদাগাড়ীর পানিহার গ্রামের কৃৃষক আব্দুল মতিন বলেন, তিনি ৭১ জাতের ধান রোপন করেছিলেন। তিনি গত মঙ্গলবার জমির ধান কেটেছেন। বিঘাপতি ফলন হয়েছে ১৭মন। একই গ্রামের কৃষক লিটন বলেন, তিনি চলতি মাসের ১৮ তালিখ ধান কেটেছেন। তিনিও ব্রি-ধান ৭১ রোপন করেছিলেন। বিঘা প্রতি তিনি ফলন পেয়েছেন ১৬ মন করেন।
এদিকে বিজয়নগর এলাকার কৃষক ইব্রাহিম ও সিরাজী বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করেন। তারা উভয়ে বিঘাপ্রতি ধান পেয়েছেন ১৬ মন করে।
কৃষকরা আরো বলেন, এই ধান চাষে খরচ অনেক কম এবং রোগাবালাই নাই বললেই চলে। আর অন্যান্য ধানের থেকে অল্প সময় লাগে। কৃষক মতিন বলেন, অন্যান্য জমিতে তিনি ৫১ জাতের ধান রোপন করেছেন, ৭১ জাতের ধানের ১৫-২০দিন পূর্বে। এই ধান কাটতে এখনো ২০-২৫দিন সময় লাগবে। এছাড়াও রোগবালাই ৫১ জাতের ধানে অনেক বেশী।
সেদিক থেকে ৭১ জাতের ধান রোপন করলে দ্রুত ফসল ঘরে তোলা যায়। সেইসাথে রবি শস্য চাষে কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটেনা। আগামী বছরে তিনি আরো বেশী করে ৭১ জাতের ধানের চাষ করবেন বলে জানান। সেইসাথে অন্যান্য কৃষকদের এই জাতের ধান চাষ করার জন্য পরামর্শ দেন মতিন। চাষ পদ্ধতি একই রকম বলে জানান তিনি।
এদিকে বর্তমান আবহাওয়ায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ অফিসার মতিয়র রহমান বলেন, সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে তাপমাত্রা ঠান্ডা রয়েছে। যা কারেন্ট পোকা ও অন্যান্য রোগবালাই বিস্তারের জন্য ততটা অনূকুল নয়। এই ঠান্ডা আবহাওয়া পুরো সপ্তাহ জুড়ে বিরাজ করতে পারে। সেইসাথে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার সতর্কতা মেনে কৃষি কাজ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস