স্টাফ রিপোর্টার: রাজশ্বখাতের আওতায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন প্রদর্শণীর মাঠ দিবস বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর কানাইডাঙ্গা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর আয়োজনে মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন গোদাগাড়ী উপাজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার। প্রধান অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ী-তানোর আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ইসহাক, কাঁকহাট পৌর মেয়র আব্দুল মজিদ, গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, গোদাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, গোদাগাড়ী কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত কৃষি অফিসার লুৎফুন নাহার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান।
অন্যদের মধ্যে উপসহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, শহিদুল আলম টিপু, নুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আকবর আলী, বেলাল হোসেন, আব্দুস সামাদ, খাইরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, লতিফুর রহামন, ফকরুল ইসলাম শরীফ, লুৎফর রহমান, এম.জে ফিরোজ, নজরুল ইসলাম, মওদুদ আহম্মেদ, পেঁয়াজ চাষী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সোহেল রানাসহ অত্র এলাকার ৫০০শতাধিক কৃষক কৃষানীসহ উপস্থিত ছিলেন।
চাষীরা বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষ করে তারা অধিক লাভ করেছেন। সমাজে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংসারে উন্নতি করেছেন। পূর্বে তারা ধানের চাষ করতেন। ধান চাষে প্রতিনিয়ত লোকসান হওয়ায় তারা ভিন্ন এই ফসল চাষে গেছেন। শুধু ধানের চাষ না করে লাভজনক ফসল যেমন পেঁয়াজ বীজ, গম, পেয়ারা, মসুর, ছোলাসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করার আহবান জানান তারা।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, দেশ এখন খাদ্যে সয়ংসম্পুর্ণ হয়েছে। মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকেনা। বর্তমান সরকার কৃষিতে অধিক পরিমানে ভুর্তুকী প্রদান করছেন। রাসায়নিক সার, কৃষি যন্ত্রপাতীর দাম হাতের নাগালে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করায় কৃষিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশ থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি কার্ড কৃষকদের প্রদান করায় তারা বিনামূল্যে বীজ সারসহ অন্যান্য কৃষি দ্রব্রাদী পাচ্ছে। এপর্যন্ত গোদাগাড়ীতে এক হাজার কোটি টাকার উপরে কৃষকদের সহায়তা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন আরো গতিশীল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে প্রতিটি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
এছাড়াও যে ফসলের লাভ বেশী এবং বাজারে ভাল দাম পাওয়া যাবে সেই ধরনের ফসল চাষ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস