নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে খরিপ-১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী’র আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১৪১০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ (উফশী আউশ ও পেঁয়াজ বীজ) বিতরণ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
রোববার উপজেলা ক্যাম্পাসে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রধান অতিথি রেখে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
দেশে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাত্র ১৫ জন কৃষকের উপস্থিতিতে প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কোনো কৃষি জমি পতিত না রেখে দেশের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
চলমান সেচ, সার, বালাইনাশক সরবরাহ অব্যাহত রাখা, শ্রমিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষির যান্ত্রীকিকরণ, পুকুরপাড় ও রাস্তার পাশে সবজি চাষ, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে সম্ভাবনা স্থানে পেয়ারা, লেবু, পেঁপে ও অন্যান্য ফল চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। আগামীতে যেন দেশে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আমরা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে আছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রণোদনা কর্মসূচী আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, এমওপি সার ১০ কেজি এবং ডিএপি সার ২০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফন নাহার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মতিয়র রহমান, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলায় মোট ৪৪৫৪৯ (চুয়াল্লিশ হাজার পাঁচশত ঊনপঞ্চাশ) জন কৃষককে পাঁচ কোটি এগারো লক্ষ আঠারো হাজার আটাশি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস